প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীর অভিজাত দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকলেও পাড়া মহল্লার সব দোকানপাট খোলা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্তও এসব দোকানপাট খোলা থাকছে। অধিকাংশ দোকানে নেই স্বাস্থ্যবিধি।
দোকানিরা বলছেন, একদিন তাদের দোকান বন্ধ রাখলে যে পরিমাণ লোকসান হয় তা তাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়। আর মানুষও তাদের প্রয়োজনে দোকানে আসে।
সকালে মালিবাগ গিয়ে দেখা গেছে ফরচুন মার্কেটসহ এলাকার বড়বড় দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে অলি-গলির দোকানগুলো খোলা। একই চিত্র দেখা গেছে মগবাজারেও। সেখানকার বিপণীবিতান, শপিং মলসহ অপেক্ষাকৃত বড় আকারের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থিত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ দেখা গেলেও ভেতরের সব প্রকারের দোকানপাট খোলা দেখা গেছে।
মগবাজার মোডের ক্যাফে ডি-মান্নাত নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খোলা দেখা গেছে। দোকানের দায়িত্বে থাকা ইকবাল হেসেন বলেন, একদিন বন্ধ রাখলে যে পরিমাণ ক্ষতির মুখে আমরা পড়ি তা পুষিয়ে নিতে কয়েক দিন লাগে৷
ফকিরাপুলের মা-বাবা স্টোরের মালিক বাবর উদ্দিন বলেন, দোকান বন্ধ কিভাবে রাখবো, সরকার তো একদিনের লাইসেন্স ফিও তো মাফ করেনি। বিদ্যুৎ গ্যাসের বিল তো ঠিকই নিচ্ছে। এক মাসের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি তো মওকুফ করতে পারে। কিন্তু তা তো নিচ্ছে না।
খিলগাঁও রেল গেটের এর অভিজাত মিষ্টির দোকান টেস্টি ট্রিট খোলা দেখা গেছে। তার পাশের খাবারের দোকান ভাই ভাই বিরিয়ানি ঘরেরও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খাবার পরিবেশন করতে দেখা গেছে। পোলক বেকারি নামে অপর একটি বিস্কুটের দোকানেও চলছে বেচাবিক্রি।
সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন।
আরও পড়ুন : সিলেটে ‘হামলা ঠেকাতে’ থানাগুলোতে মেশিনগান পোস্ট